একটা কোম্পানি নিবন্ধনের প্রথম ধাপ হল আপনি যেই নামে কোম্পানিটি নিবন্ধন করতে চাচ্ছেন সেই নাম টি এভেইলেবল আছে কি না, তা চেক করা, যদি আপনার কাঙ্খিত নামটি এভেইলেভেল থাকে তাহলে নেম ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করা। আপনার কোম্পানির নামটি ইউনিক হতে হবে, অর্থ্যাৎ এই নামে বাংলাদেশে অন্য কোন রেজিস্টার্ড কোম্পানি থাকবে না। আপনি খুব সহজে আরজেএসসির সার্ভার থেকে দেখে নিতে পারেন আপনার পছন্দকৃত নামটি এভেইলেভেল আছে কি না, এবং ফ্রী থাকলে আপনি নেম ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।নামের ছাড়পত্র পাওয়ার পর আপনি কোম্পানীর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।
১. কোম্পানী নিবন্ধন করার জন্য RJSC এর ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় সকল ইনফরমেশন ইনপুট করে,
২. মেমোরান্ডাম অফ এসোসিয়েশন,
৩. আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন,
৪. পরিচালকদের নামের তালিকা, ইত্যাদি ডকুমেন্টস্ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
সবকিছু সফল ভাবে আপলোড এবং সাবমিট করা হলে, নিবন্ধন ফি সহ অন্যান্য সরকারী ফিস জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকের পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করার অপশন আসবে। স্লিপটি প্রিন্ট করে নির্ধারিত ব্যাংকে ফিস জমা দিতে হবে। এর পর যৌথমূলধনী কোম্পানীর নিবন্ধকের কার্যালয়ে মেমোরান্ডাম অফ এসোসিয়েশন, আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন এর মূল কপি, ফর্ম- ১, ফর্ম-৬, পরিচালক হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তালিকা, পরিচালকের সম্মতিপত্র, ফর্ম-১২ ইত্যাদি কাগজপত্র যথাযত ভাবে পূরণ করে জমা প্রদান করতে হবে।
এর পর আরজেএসসির কর্মকর্তারা আপনার আপলোডকৃত ডকুমেন্টস্ পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার কোম্পানি নিবন্ধনের আবেদন টি এপ্রুভ করে দিবে, অর্থ্যাৎ আপনার কোম্পানির রেজিষ্ট্রেশন সফল হয়েছে এবং আপনাকে ইমেইলে-
১. ই-স্বাক্ষর যুক্ত সার্টিফিকেট অফ ইন-করপরেশন,
২.MOA, AOA এবং
৩. ফর্ম- xii পাঠাবে।
এই ডকুমেন্টগুলো প্রাপ্তির অর্থ, আপনার কোম্পানিটি নিবন্ধিত হয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধিত হওয়ার পরে ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করার জন্য আপনাকে আরও কিছু সনদ সংগ্রহ করতে হবে। ব্যবসায়ের ধরণ ও প্রকৃতি অনুসারে এই সনদের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কোম্পানি নিবন্ধনের পরে বাধ্যতামূলক যে সনদসমূহ নিতে হবে:
১.ট্রেড লাইসেন্স
২.কোম্পানীর নামে টিন সার্টিফিকেট
৩. ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি
সবকিছু রেডি হয়ে গেলে আপনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।


